Advertise With Us
For Questions, Enquiries, Click Here
Facebook - Twitter - Call Us - ayfafoundation@gmail.com

আম্বিয়া-ইউনুছ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে আবার শুরু হতে যাচ্ছে ‘আইফা বৃত্তি-২০২৫”।

আম্বিয়া–ইউনুছ ফাউন্ডেশন (আইফা)—একটি নিবেদিত সামাজিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, যার লক্ষ্য সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের কল্যাণে কাজ করা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আইফা বিশেষভাবে মেধাবী ও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের অন্যতম প্রধান উদ্যোগ ছিল মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, যা অসংখ্য শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

কিন্তু নানা বাস্তব কারণে এই বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম একসময় বন্ধ হয়ে যায়। তবুও ফাউন্ডেশন কখনোই তাদের সেই মানবিক দায়িত্ব ভুলে যায়নি। অবশেষে নানা পরিকল্পনা, প্রস্তুতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো পুনর্গঠনের পর ফাউন্ডেশন আবারও নতুনভাবে বৃত্তি কার্যক্রম পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। এই উদ্যোগ শুধু একটি কার্যক্রমের পুনরারম্ভ নয়—এটি সমাজে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার নতুন অঙ্গীকার।

কেন বৃত্তি কার্যক্রম এত গুরুত্বপূর্ণ?

বাংলাদেশে এখনও অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বাধাগ্রস্ত হয়। কখনো বই-খাতা কেনা, কখনো ভর্তি ফি, আবার কখনো নিত্যদিনের শিক্ষাসামগ্রীর অভাব তাদের স্বপ্নকে থামিয়ে দেয়। আইফার বৃত্তি ঠিক এই জায়গাতেই আশার আলো জ্বালায়।

এই বৃত্তির মাধ্যমে

  • দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা শিক্ষাজীবন এগিয়ে নিতে পারে
  • মেধার বিকাশ ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়
  • একটি শিক্ষিত ও সুশিক্ষিত সমাজ গঠনে অবদান রাখা সম্ভব হয়
  • নতুনভাবে বৃত্তি কার্যক্রম চালুর লক্ষ্য

আইফার নতুন বৃত্তি কার্যক্রমে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে—

  • মেধা যাচাইয়ের স্বচ্ছ প্রক্রিয়া,
  • নির্দিষ্ট শিক্ষা স্তরের ছাত্র–ছাত্রীকে অগ্রাধিকার,
  • দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা,
  • এবং ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে বৃত্তি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা।
ফাউন্ডেশন জানায়, এই উদ্যোগ শুধু আর্থিক সহায়তা নয়; বরং শিক্ষার্থীদের সার্বিক উন্নয়নে পরামর্শ, নৈতিক শিক্ষা ও সামাজিক মূল্যবোধ গঠনের উপরও জোর দেওয়া হবে।

সমাজের প্রতি আইফার অঙ্গীকার

আম্বিয়া–ইউনুছ ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আসছে। বৃত্তি কার্যক্রম পুনরায় চালু করার মধ্য দিয়ে তারা সমাজে আবারও দেখিয়ে দিল—সমাজ পরিবর্তনের মূলে রয়েছে শিক্ষা, আর সেই শিক্ষায় বিনিয়োগই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে পারে।

ফাউন্ডেশন আশাবাদী যে, সমাজের প্রত্যেক শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ, দাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতায় এই মানবিক উদ্যোগ আরও সমৃদ্ধ হবে। ভবিষ্যতে আরও বেশি শিক্ষার্থী উপকৃত হবে এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

শেষ কথা

আইফার বৃত্তি কার্যক্রম পুনরায় চালু হওয়া নিঃসন্দেহে একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। এই উদ্যোগ কেবল শিক্ষার্থীদেরই নয়, পুরো সমাজকেই এগিয়ে নেবে। শিক্ষা–সহায়তার এই আলোকবর্তিকা একদিন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে যাবে—এমনই প্রত্যাশা আমাদের সবার।